বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা, ঢেঁড়শ, পালংশাক ও লালশাক চাষাবাদে দক্ষতা অর্জন করতে পারা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK
Please, contribute to add content into বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা, ঢেঁড়শ, পালংশাক ও লালশাক চাষাবাদে দক্ষতা অর্জন করতে পারা.
Content

ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি, শিম, মূলা, চেঁড়শ, পালংশাক, লালশাক চাষাবাদের জন্য জমি। নির্বাচন, জমি তৈরি ও প্রাথমিক সার প্রয়োগ, রোপিত চারা পরিচর্যা এবং সার উপরি প্রয়োগ, সবজি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা

প্রাথমিক তথ্য- সবজি চাষে কী ধরনের জমি প্রয়োজন তার বৈশিষ্ট্য

ফসলের নামজমির ধরন
ফুলকপিদোঁআশ-এঁটেল দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।
বাঁধাকপিদোঁআশ--এঁটেল দোঁআশ উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।
বরবটিদোঁআশ-বেলে দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।
শিমদোঁআশ বেলে দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ।
মূলাদোঁআশ-বেলে বা এঁটেল দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু।
ঢেঁড়শদোঁআশ-বেলে বা এঁটেল দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।
পালংশাকদোঁআশ-বেলে বা এঁটেল দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।
লালশাকদোঁআশ-বেলে বা এঁটেল দোঁআশ, উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু।

এ ধরনের জমি নির্বাচন করে উত্তমরূপে চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে বেড় বা সারি করে নিতে হয়। সারের প্রাথমিক ও উপরি প্রয়োগ প্রতি হেক্টরে।

ফসলের নামপ্রাথমিক সার প্রয়োগউপরি প্রয়োগের সার ও প্রয়োগের সময়
গোবর টিএসপি এমওপি 
ফুলকপি১০ টন ৪০ কেজি ৪০ কেজিইউরিয়া ৮০ কেজি চারা গজানোর ১০-১২ দিন পর
বাঁধাকপি৭ টন ৯০ কেজি ৫৫ কেজি ইউরিয়া ১৩২ কেজি, এমওপি ৫৫ কেজি
শিম১০ কেজিসমান ৩ কিস্তিতে চারা রোপণের ১০ দিন ১২৫ দিন পর এবং ৩য় কিন্তুি মাথা বাঁধার সময় ও ৭৫ গ্রাম এমও পি দিতে হবে।
মূলা চারা গজানোর ২৩ সপ্তাহ পর পর ২ বার ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ইউরিয়া ৫০ কেজি ৪৫ পাতা এবং ৫০ কেজি ৮১০ পাতা হলে দিতে হবে। এমওপি ২৫ কেজি ৪৫ পাতা এবং ৭৫ কেজি ১০১২ পাতা হলে দিতে হবে।
ঢেঁড়শ ইউরিয়া ৬০ কেজি এমওপি ৬০ কেজি চারা লাগানোর ১৫ | দিন। পর হতে ২ সপ্তাহ পর পর ৩ বার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
পালংশাক ইউরিয়া ৮০ কেজি চারা গজানোর ১০ দিন পর হতে ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে
লালশাক ইউরিয়া ৪৫ কেজি বীজ বপনের ১০ দিন পর পর ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রাথমিক ও উপরি প্রয়োগের পরিমাণ প্রতি হেক্টরে এবং উপরি প্রয়োগকৃত সার কত কিস্তিতে দেয়া হবে তা উল্লেখ করা হলো।

বীজ/চারা রোপণের কতদিন পর হতে ফসল সংগ্রহ করা যায় তা দেয়া হলো

প্রয়োজনীয় উপকরণ ১। জমি, ২। বীজ/চারা, ৩। লাঙ্গল, ৪। মই, ৫। আঁচড়া, ৬। কোদাল, ৭। নিড়ানি, ৮। রশি, ৯। টেপ, ১০। ঝুড়ি, ১১। সার, ১২। ঝাঁঝরি, ১৩। খুঁটি, ১৪। খাতা কলম।

কাজের ধাপ

১. উর্বর, সুনিষ্কাশিত, বেঁলে-দোঁআশ, দোঁআশ বা এঁটেল দোঁআশ মাটি উঁচু হতে মাঝারি উঁচু বা মাঝারি নিচু, আলোবাতাসযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে। 

২. জমি উত্তমরূপে চাষ ও মই দিয়ে সমতল করে আঁচড়া দ্বারা আগাছা বেছে ফেলতে হবে। 

৩. প্রাথমিক সার জমির শেষ চাষের পূর্বে সম্পূর্ণ জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। 

৪. জমি তৈরির পর সবজিভেদে বেড/মাদা/সারি তৈরি করে চারা রোপণ বা বীজ বপন করতে হবে (তাত্ত্বিক অংশে উল্লেখ আছে)। 

৫. চারার গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য নিষ্কাশন নালার ব্যবস্থাসহ শুষ্ক অবস্থায় সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

৬. সার উপরি প্রয়োগকালে প্রতিবারই মাটির সাথে নিড়ানি/কোদাল দিয়ে সার মিশিয়ে দিতে হবে এবং সেই সাথে আগাছা উঠায়ে দিতে হবে। 

৭. সার দেওয়ার পর মাটিতে 'জো' এর ঘাটতি থাকলে হালকা সেচ দিতে হবে। 

৮. শাক সবজি উপযুক্ত অবস্থায় তুলতে হবে এবং তোলার সময় মাঠে জমিতে না রেখে পাত্রে নিয়ে ছায়ায় রাখতে হবে। 

৯. খুব ভোরে বা বিকেলে ছায়া সময়ে শাক সবজি সংগ্রহ করতে হবে। 

১০. শাক সবজি ঠান্ডা আর্দ্র অবস্থায় ১-২ দিন রাখা যাবে।

১১. সমস্ত কার্যক্রম ব্যবহারিক খাতায় ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion